
এটি একটি জরুরি ধারণাগত বিবরণ। [জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে যারা আগ্রহী, যাঁরা কাজ করেন, পড়াশোনা করেন, বুঝতে চান, শিখতে চান – তাঁদের ধারণা স্পষ্ট করার জন্য এটা একটা দরকারি ডকুমেন্ট। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা এই ডকুমেন্টটি তৈরি করেছে জ্যোতির্বিদ্যায় সাক্ষরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। বিজ্ঞান সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে যেমন ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন কয়েকটি ধারণাগত স্টেটমেন্ট তৈরি করেছে, এটিও তদ্রূপ। এখানে ১১টি মূল পয়েন্ট আছে। প্রতিটির অধীনে আছে ৫-৭টি উপধারা এবং তাদের বিস্তারিত বিবরণ। এগারোটি ধারায় জ্যোতির্বিজ্ঞানের কয়েকটি মূল স্তম্ভকে সংক্ষেপে তুলে আনা হয়েছে। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে এবং এদের উপধারায় বর্ণিত প্রস্তাবনাগুলি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এই বর্ণনাগুলিই জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাক্ষরতার সাথে বিজড়িত কোর কনসেপ্ট। অতএব, এই আন্তর্জাতিক ইশতেহারটি অনুধাবন ও অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। – সম্পাদক ]
জ্যোতির্বিদ্যার মোদ্দাকথা #2 আইএইউ ডকুমেন্ট , ২০২০
জ্যোতির্বিদ্যার মোদ্দাকথা আইএইউ ডকুমেন্ট , ২য় সংস্করণ, ২০২০
১. জ্যোতির্বিদ্যা মানব-ইতিহাসের প্রাচীনতম বিজ্ঞানগুলোর অন্যতম
১.১ আকাশ এবং সূর্য ও গ্রহসমূহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ছিল ভৌতজগত অনুধাবনের প্রথম প্রচেষ্টা।
১.২ প্রাচীন সমাজে রাতের আকাশের বিবিধ নক্ষত্রকে নিয়ে কাল্পনিক নকশা প্রচলিত ছিল।
১.৩ দুনিয়াজোড়া নানা সভ্যতার আর্ট ও কালচারে উদ্দীপনা জুগিয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং পরিবর্তে শিল্প সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়াদি ব্যবহৃত হয়েছে।
১.৪ জ্যোতির্বিজ্ঞান সময় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গণনায় সাহায্য করে, যা প্রাচীন কৃষির জন্য অপরিহার্য ছিল।
১.৫ অতীতে জ্যোতির্বিজ্ঞান দিক-নির্দেশনার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
১.৬ জ্যোতির্বিজ্ঞান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে যা জোতিষশাস্ত্র থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।
১.৭ কোনো কোনো প্রাচীন সভ্যতায় পৃথিবী্কে বিশ্বের কেন্দ্র বলে বিশ্বাস করা হত।
১.৮ একশো বছরের প্রচেষ্টায় কোপার্নিকান বিপ্লব সৌরজগতের কেন্দ্রে পৃথিবীর বদলে সূর্যকে প্রতিস্থাপন করেছে।
১.৯ প্রায় চারশত বছর আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম প্রণালীবদ্ধ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন।
১.১০ পৃথিবী নামক গ্রহটির আকৃতি প্রায় বর্তুল আকৃতির এবং বহু শতাব্দী ধরে তা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যাত ছিল।
২. অনেক মহাজাগতিক ঘটনাই আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার অংশ
২.১ পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারিদিকে ঘুরছে বলে আমরা দিন ও রাতের পার্থক্য বুঝতে পারি।
২.২ সূযের চারিদিকে পৃথিবী এক বছরে একবার ঘুরে আসে এবং পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের আনতির কারণে আমরা ঋতুর পার্থক্য বুঝতে পারি।
২.৩ আমরা চন্দ্রচক্র জুড়ে চাঁদের বিভিন্ন দশা দেখতে পাই।
২.৪ পৃথিবী, সূর্য এবং চাঁদের বিশেষ অবস্থানের কারণে গ্রহণ সংঘটিত হয়।
২.৫ সূর্য ও চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ জনিত আকর্ষণের কারণে পৃথিবীতে জোয়ারভাটা হয়।
২.৬ পৃথিবীর অধিকাংশ জীবের জন্য সূর্যের আলো অপরিহার্য।
২.৭ পৃথিবীর উর্ধ্বাকাশে সূর্য থেকে আগত বিভিন্ন কণার কারণে মেরুজ্যোতির সৃষ্টি হয়।
২.৮ জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরও অংশ।
৩. রাতের আকাশ বিচিত্র, সমৃদ্ধ এবং গতিময়
৩.১ অন্ধকার মেঘমুক্ত রাতের আকাশে আমরা কয়েক হাজার তারা খালি চোখে দেখতে পাই।
৩.২ রাতের আকাশ দেখে পৃথিবীতে নিজের অবস্থান জানা যায় [অরিয়েন্টেশন, দিক- সচেতনতা] এবং যথোপযুক্ত দিক-নির্দেশনা [নেভিগেশন] পাওয়া যায়।
৩.৩ কয়েক হাজার বছর ধরে পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের দোলাচল ঘটে (অয়নচলন)।
৩.৪ সূর্য দিগন্তের উপরে থাকলে খালি চোখে মাত্র গুটিকয়েক জোতিষ্ক দেখা যায়।
৩.৫ পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে জ্যোতিষ্কগুলো (গ্রহ/নক্ষত্র) পুবাকাশে উঠে এবং পশ্চিমে অস্ত যায়।
৩.৬ তারার মিটমিট করে জ্বলার কারণ হল আমাদের বায়ুমণ্ডল।
৩.৭ প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন উল্কাপিন্ড পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।
৪. জ্যোতির্বিজ্ঞান এমন একটি বিজ্ঞান যা মহাবিশ্বের বিভিন্ন জোতিষ্ক এবং মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে
৪.১ জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের প্রধান উৎস আলো যা একপ্রকার বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণ।
৪.২ বৃহৎ পরিসরে মহাকর্ষ হলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মিথস্ক্রিয়া।
৪.৩ মহাকর্ষীয় তরঙ্গ এবং অবপারমাণবিক কণা এই মহাবিশ্বকে বোঝার নয়া তরিকা দেয়
।৪.৪ জ্যোতির্বিজ্ঞানের আধুনিক তাত্ত্বিক অবকাঠামোতে বিবিধ [আকাশ] পর্যবেক্ষণ এবং কম্পিউটার সিমুলেশন থেকে প্রাপ্ত ডেটাকে ব্যবহার করে নানাবিধ মহাজাগতিক ঘটনার মডেল নির্মাণ করা হয়।
৪.৫ জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণায় বিভিন্ন ক্ষেত্র হতে আহৃত জ্ঞান ব্যবহার করা হয়। যেমন: পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান।
৪.৬ জ্যোতির্বিজ্ঞানের বেশ কিছু বিশেষায়িত শাখা আছে।
৪.৭ জ্যোতির্বিজ্ঞানে সময় ও দূরত্বের যে স্কেল ব্যবহার করা হয় তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহত স্কেল থেকে অনেক বড়।
৪.৮ বর্ণালিমিতি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা এই মহাবিশ্বকে দূর থেকে অনুসন্ধান করতে সাহায্য করে।
৫. জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিকাশ দ্বারা ঋদ্ধ হয় এবং তাকে ত্বরান্বিত করে
৫.১ জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার জন্য টেলিস্কোপ এবং ডিটেক্টর অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।
৫.২ কোনো কোনো টেলিস্কোপকে একত্রে সংযুক্ত করে একটি বড় টেলিস্কোপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৫.৩ পৃথিবী এবং মহাশূণ্যের বিভিন্ন জায়গায় জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক মানমন্দির রয়েছে।
৫.৪ পৃথিবীস্থ জ্যোতির্বিজ্ঞানের মানমন্দিরগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রত্যন্ত ও নির্জন অঞ্চলে অবস্থিত।
৫.৫ বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞান “বিগ সায়েন্স” ও “বিগ ডেটা”র অংশ!
৫.৬ জ্যোতির্বিজ্ঞানের জটিল সিমুলেশন এবং প্রচুর পরিমাণে ডেটা বিশ্লেষণের জন্য শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারের উন্নয়ন প্রয়োজন।
৫.৭ জ্যোতির্বিজ্ঞান একটি বৈশ্বিক বিজ্ঞান যেখানে অনেক আন্তঃদেশীয় গবেষক দল কাজ করে এবং যেখানে ডেটা ও পাবলিকেশন মুক্তভাবে আদানপ্রদান করা হয়।
৫.৮ সৌরজগতকে বোঝার জন্য মহাকাশে অসংখ্য মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।
৬. মহাবিশ্বকে সম্পূর্ণরূপে বোঝার বিজ্ঞানই কসমোলোজি
৬.১ এই মহাবিশ্বের বয়স তেরোশো কোটি বছরের বেশি।
৬.২ মহাবিশ্ব ব্যাপক পরিসরে সমসত্ব ও দিকনিরপেক্ষ।
৬.৩ আমরা সর্বদা অতীত পর্যবেক্ষণ করি।
৬.৪ আমরা গোটা মহাবিশ্বের শুধুমাত্র একটি খণ্ডাংশ দেখতে পাই।
৬.৫ মহাবিশ্ব মূলত ডার্ক এনার্জি ও ডার্ক ম্যাটার দ্বারা নির্মিত।
৬.৬ মহাবিশ্ব ত্বরিত হারে প্রসারিত হচ্ছে।
৬.৭ মহাশূণ্যের প্রসারণের ফলে দূরের গ্যালাক্সি থেকে আসা আলোর রক্তিম সরণ ঘটে।
৬.৮ প্রাকৃতিক বিধিসমূহ (যেমন মহাকর্ষ) পৃথিবীতে যেমন, তেমনি মহাবিশ্বের সব জায়গায় একইভাবে কাজ করে।
৬.৯ ব্যাপক পরিসরে মহাবিশ্বের কাঠামো ফিলামেন্ট, শিট এবং ভয়েড দ্বারা গঠিত।
৬.১০ অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ [কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড] আমাদেরকে আদি মহাবিশ্ব বুঝতে সাহায্য করে।
৬.১১ মহাবিশ্বের বিবর্তন বিগব্যাং মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়।
৭. সৌরজগতের ভেতরে একটি ক্ষুদ্র গ্রহে আমাদের সবার বসবাস
৭.১ আমাদের সৌরজগত আনুমানিক ৪৬০ কোটি বছর পূর্বে গঠিত হয়েছিল।
৭.২ সৌরজগত সূর্য, গ্রহ, বামন গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু, গ্রহাণু এবং তুষারিত বস্তু দ্বারা গঠিত।
৭.৩ সৌরজগতে আটটি গ্রহ রয়েছে।৭.৪ সৌরজগতে বেশ কয়েকটি বামন গ্রহ রয়েছে।
৭.৫ সৌরজগতের গ্রহসমূহ দুইভাগে বিভক্ত — পাথুরে গ্রহ এবং গ্যাস দানব।
৭.৬ কিছু গ্রহের কয়েক ডজনের মত প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে।
৭.৭ পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে আবর্তনরত তৃতীয় গ্রহ এবং চাঁদ এর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ।
৭.৮ লক্ষ লক্ষ গ্রহাণু রয়েছে যারা সৌরজগতের আদি গঠনের অবশেষ।
৭.৯ ধুমকেতু একটি তুষারিত বস্তু, এটি যখন সুর্যের কাছে আসে তখন সৌরতাপের কারণে এর একটি গ্যাসীয় পুচ্ছ দেখা যায়।
৭.১০ সৌরজগতের প্রান্তবর্তী অঞ্চলটির নাম হেলিওপজ (সৌরবিরতি)।
৮. আমরা সবাই নক্ষত্রধূলি দিয়ে তৈরি
৮.১ নক্ষত্র হল একটি সদীপ্ত কায়া যা অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রীণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে।
৮.২ ধূলা ও গ্যাসের অতিকায় মেঘ থেকে নক্ষত্রের উৎপত্তি হয়।
৮.৩ পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রটি সূর্য।
৮.৪ সূর্য একটি সদা পরিবর্তনশীল নক্ষত্র।
৮.৫ নক্ষত্রের রং থেকে তার পৃষ্ঠ তাপমাত্রার হদিস পাওয়া যায়।
৮.৬ দুটি নক্ষত্রের মধ্যবর্তী স্থানে সাধারণত অত্যন্ত ফাঁকা স্থান থাকে অথবা এর মাঝে গ্যাসের মেঘ থাকতে পারে- যেখান থেকে নতুন নক্ষত্র জন্ম নিতে পারে।
৮.৭ নক্ষত্রের একটি জীবনচক্র থাকে যা তার প্রাথমিক ভর দ্বারা নির্ণীত হয়।
৮.৮ অতি ভারী নক্ষত্রগুলো কৃষ্ণবিবর (নাক্ষত্রিক) হিসেবে জীবনচক্র সমাপ্ত করে।
৮.৯ নতুন নক্ষত্র এবং তাদের গ্রহমন্ডলী ঐ অঞ্চলের পূর্বতন নক্ষত্রের ধ্বংসাবশিষ্ট বস্তু থেকে জন্ম নেয়।
৮.১০ মানবদেহস্থ পরমাণুগুলির উৎস পূর্বতন নক্ষত্রগুলোতে পাওয়া যেতে পারে।
৯. মহাবিশ্বে নিখর্ব সংখ্যক (কয়েক শত বিলিয়ন) নক্ষত্র রয়েছে
৯.১ গ্যালাক্সি হল নক্ষত্র, ধূলিকণা এবং গ্যাসের একটি বৃহৎ সমাহার।
৯.২ গ্যালাক্সি বিপুল পরিমাণ ডার্ক ম্যাটার ধারণ করে।
৯.৩ গ্যালাক্সির গঠন একটি পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া।
৯.৪ গ্যালাক্সি মূলত তিন ধরণেরঃ কুণ্ডলিত, উপবৃত্তাকার এবং অনিয়মিত।
৯.৫ আমরা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ নামের একটি কুণ্ডলিত গ্যালাক্সিতে বসবাস করি।
৯.৬ গ্যালাক্সির কুণ্ডলিত বাহু গ্যাস এবং ধূলিকণা জমা হয়ে গঠিত হয়।
৯.৭ বেশিরভাগ গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি অতিভারী কৃষ্ণবিবর থাকে।
৯.৮ গ্যালাক্সিগুলো একে অপরের থেকে বহুদূরে অবস্থিত হতে পারে।
৯.৯ গ্যালাক্সিগুলো ক্লাস্টার বা গুচ্ছকারে থাকে।
৯.১০ গ্যালাক্সিগুলো পরস্পরের সাথে মহাকর্ষ বলের দ্বারা মিথষ্ক্রিয়া করে।
১০. এই মহাবিশ্বে আমরা সম্ভবত নিঃসঙ্গ নই
১০.১ পৃথিবীর বাইরেও জৈব অণু সনাক্ত করা হয়েছে।
১০.২ পৃথিবীর অনেক চরমভাবাপন্ন পরিবেশেও জৈবসত্তার বেঁচে থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
১০.৩ মঙ্গল গ্রহে সম্ভাব্য তরল পানির সন্ধান আদিম প্রাণসত্তার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
১০.৪ সৌরজগতের কিছু প্রাকৃতিক উপগ্রহে প্রাণের উপযোগী অনুকূল শর্ত উপস্থিত।
১০.৫ সূর্য ছাড়াও অন্য নক্ষত্রকে ঘিরে প্রচুর গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে, এদেরকে বাহ্যগ্রহ বলে।
১০.৬ বাহ্যগ্রহগুলো অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ হয় এবং প্রায়ই এরা নিজস্ব জগৎ তৈরি করে।
১০.৭ আমরা এখন পৃথিবী-সদৃশ গ্রহ শনাক্তকরণের কাছাকাছি চলে এসেছি।
১০.৮ বিজ্ঞানীরা অপার্থিব বুদ্ধিমত্তার সন্ধান করছেন।
১১. এই মহাবিশ্বে পৃথিবী আমাদের একমাত্র বাসস্থান, একে আমাদের রক্ষা করতেই হবে
১১.১ আলোক দূষণ মানুষ, অন্যান্য প্রাণী এবং উদ্ভিদের উপর প্রভাব ফেলে।
১১.২ পৃথিবীর কক্ষপথে প্রচুর মানব সৃষ্ট বর্জ্য বিদ্যমান।
১১.৩ মহাশূন্যে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তুসমূহের উপর আমরা নজর রাখছি।
১১.৪ পৃথিবীর পরিবেশের উপর মানুষের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
১১.৫ মানুষের কার্যকলাপ দ্বারা জলবায়ু এবং বায়ুমন্ডল ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।
১১.৬ আমাদের গ্রহটির সংরক্ষণে একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গী প্রয়োজন ।
১১.৭ জ্যোতির্বিজ্ঞান আমাদের একটি অনন্য মহাজাগতিক দৃষ্টিভঙ্গী দেয়, যা পৃথিবীর নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলে।
অনুবাদ ও সম্পাদনা টিমের পক্ষে – Dr. Farseem Mannan Mohammedy
National Outreach Coordinator (Bangladesh), International Astronomical Union (IAU)